বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয় জাফর সাদেকের দপ্তর থেকেই আশিকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুর্নীতির একটি অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে আশিকুর রহমান এক লাখ টাকা ঘুষ সেধেছিলেন।
জানা গেছে, বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা আশিকুর আগে বান্দরবানে ১৭ নম্বর আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ছিলেন। তখন একটি দরপত্রের অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তার অনুসন্ধান করছিলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জাফর সাদেক শিবলী।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে আজ দুদক অফিসে নীলফামারী জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট উপস্থিত হয়ে নগদ এক লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে তার অনুকূলে অনুসন্ধান নিষ্পত্তি করার প্রস্তাব দেন। তখন অনুসন্ধান কর্মকর্তা শিবলী ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হয়ে কমিশন কর্মকর্তাদের সহায়তায় এক লাখ টাকা ঘুষসহ তাকে গ্রেপ্তার করেন।
আশিকুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, দুর্নীতির সাথে কেউ জড়িত হলে তিনি আর সরকারি কর্মচারী থাকেন না। সরকারি কর্মকর্তার মর্যাদা রাখতে হলে অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে।